ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বন্ধ সড়ক যোগাযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বন্ধ সড়ক যোগাযোগ

বান্দরবান: ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বান্দরবানে প্লাবিত এলাকাগুলোর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। পাহাড় ধস ও বন্যার কারণে বন্ধ রয়েছে রুমা-থানচি ও কক্সবাজার-চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল থেকেও প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে শহরের আর্মিপাড়া, মেম্বারপাড়া, শেরে বাংলা নগর, ব্রিগেড এলাকা, ওয়াপদা ব্রিজ সংলগ্ন, ইসলামপুর এলাকায় বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (০৫ জুলাই) থেকে অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলা সদরসহ লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার হাজারও মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে আবারো অবিরাম বর্ষণের কারণে বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের বড় দুয়ারা এলাকায় সড়কে প্রায় ৫ ফুট পানি উঠে সারাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্ধ রয়েছে বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগও।
 
বান্দরবান পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝন্টু দাশ বাংলানিউজকে জানান, বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত হয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, টানা বৃষ্টির কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে বান্দরবান শহর ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকদের সরে যেতে প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া জেলার সাতটি উপজেলায় সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।

অপরদিকে, পাহাড় ধসে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রুমা-থানছি উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।  

জানা যায়, জেলার বিভিন্নস্থানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খোলা হয়েছে ১২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে জরুরিভাবে খোলা কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বাংলানিউজকে জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার সরবরাহ করা হবে। এছাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সরবরাহ ও পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।