ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদকবিক্রেতা নিহত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদকবিক্রেতা নিহত

কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেঙ্গুরবিল পাহাড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আব্দুল মালেক (৩৮) নামে এক মাদকবিক্রেতা নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১০ জুলাই) দিনগত রাত ১২টার দিকে লেঙ্গুরবিলের সাকিনের মালির মাঠছড়া পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে।  

আব্দুল মালেক টেকনাফের পুরাতন পল্লান পাড়ার মৃত মকবুল আহাম্মদের ছেলে।

ঘটনাস্থল থেকে দুইটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, পাঁচ হাজার ইয়াবা, ১৩ রাউন্ড কার্তুজ ও ২১ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। তারা হলেন- পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রামধন চন্দ্র দাস, কনস্টেবল আব্দুর শুক্কুর ও রাজু মজুমদার।

টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে জানান, মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদকবিক্রেতা আব্দুল মালেককে টেকনাফের পৌর বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ইয়াবার একটি বড় চালান টেকনাফ সদরের উত্তর লেঙ্গুরবিল সাকিনের মালির মাঠ ছড়া পাহাড়ের পাদদেশে মজুত রয়েছে বলে জানায় সে।  

তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ এদিন রাত ১২টার দিকে ওই স্থানে পৌঁছায়। সে সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই মালেকের সহযোগী অস্ত্রধারী মাদকবিক্রেতারা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে জীবন রক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময়ই আব্দুল মালেক গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গোলাগুলির শব্দে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে পুলিশ গুলি করা বন্ধ করে দেয়।

ওসি জানান, এক পর্যায়ে অস্ত্রধারী মাদক কারবারীরা পিছু হটলে পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে দুইটি দেশীয় তৈরি বন্দুক (এলজি), ১৩ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ, ২১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।

ওসি আরও জানান, পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ আব্দুল মালেককে চিকিৎসার জন্য প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

থানায় আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্রসহ ছয়টি মামলা ছিল বলেও জানান ওসি প্রদীপ।

২০১৮ সালের ৪ মে থেকে দেশব্যাপী শুরু হওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযানে র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ও এলাকায় মাদকের প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের ঘটনায় কক্সবাজার জেলায় ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন রোহিঙ্গা নারীসহ ২৬ জন রোহিঙ্গাও রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
এসবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।