ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তিন এতিম পুলিশ হওয়ায় সরকারি শিশু পরিবারে আনন্দের বন্যা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
তিন এতিম পুলিশ হওয়ায় সরকারি শিশু পরিবারে আনন্দের বন্যা মো. আব্দুল মান্নান, মো. সাদেকুল রহমান, মো. লিংকন মিয়া

কুমড়ি (নেত্রকোণা) থেকে: নেত্রকোণায় এতিমদের একমাত্র আশ্রয়স্থল সরকারি শিশু পরিবার। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির বয়স এখন ৪৬ বছর। প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম প্রতিষ্ঠানের তিনজন সদস্য পুলিশে চাকরি পেলেন।

পুলিশে চাকরি হওয়ার খবরটি নিশ্চিত হওয়ার পর বুধবার (১০ জুন) দিনগত রাতে গিয়ে দেখা যায় পুরো শিশু পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা।

খুশিতে চলছে মিষ্টিমুখ, তুমুল আড্ডায় আনন্দ আর গানবাজনা।

তিনজনের চাকরি পাওয়ার এই সংবাদে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে যেন আজ পৃথিবীর চাঁদ!

নিজেদের যোগ্যতায় সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পাওয়া শিশু পরিবারের তিন সদস্য হলেন- মো. আব্দুল মান্নান, মো. সাদেকুল রহমান, মো. লিংকন মিয়া।

মান্নান কেন্দুয়া উপজেলার ছবিলা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে, সাদেকুল সদর উপজেলার পূর্ব মেদনী গ্রামের মৃত সাদেক মিয়ার ছেলে ও লিংকন আটপাড়া উপজেলার বাউসা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।

সরকারি শিশু (বালক) পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক তারেক হোসেন বাংলানিউজকে জানান, উৎকোচ ছাড়া শিশু পরিবারের তিন সদস্য চাকরি পাওয়ায় তারা খুব উপকৃত হয়েছেন। ধসে যাওয়া তিনটি পরিবার আবার নতুনভাবে স্বপ্ন দেখতে পারবে। তাছাড়া শিশু পরিবারেরও সুনামর্জন হওয়ায় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তারা গর্ববোধ করছেন। স্বচ্ছতার নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ তথা জেলা পুলিশ সুপারের প্রতি ধন্যবাদ জানান উপ-তত্ত্বাবধায়ক তারেক।

কনস্টেবল পদে নিয়োগ পাওয়া শিশু পরিবারের সদস্য লিংকন, মান্নান ও সাদেকুল বাংলানিউজকে জানান, চাকরি পেয়ে তারা খুব আনন্দিত। এরইমধ্যে পুরনো দিনের সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে নতুন জীবনের স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন তারা।  

ডিপার্টমেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী চাকরি জীবনে নিজেদের দায়িত্বপালনের মাধ্যমে দেশ ও জনগণের সেবা দিতে বদ্ধপরিকর থাকবেন বলেও জানান পুলিশের নতুন এই সদস্যরা।

এদিকে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব চৌধুরী বলেন, শিশু পরিবারের তিন সদস্য নিজেদের মেধা যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন। শিশু পরিবারের সদস্য ছাড়াও বাকি ৭২ জনকে প্রতিবারের নিয়োগের মতো এবারও স্বচ্ছতার সঙ্গে এই চাকরি দেওয়া হয়।

এবারের নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১০, পুলিশ কোটায় ৩, নারী কোটায় ১৭ জন ও বিভিন্ন পর্যায় থেকে ৪৫ জনকে নেওয়া হয়েছে।

নতুন পুলিশ সদস্যরা নিজের দায়িত্ব যথাযথ পালন করে ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে পরিচ্ছন্ন সমাজ গঠন ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ০২০২ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad