বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলের দিকে ওই অঞ্চলে নদীর পানি প্রবেশ করতে থাকে।
বর্তমানে উপজেলার পৌরসভাসহ আটটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের প্রায় কয়েকশ বাড়ি-ঘর ডুবে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার পৌর এলাকার মধ্যম পাড়া, পুরাতন মারিশ্যা, মাস্টার পাড়া, হাজি পাড়া, উগলছড়ি, মুসলিম ব্লক, মাদ্রাসা পাড়া, এফ ব্লক, বটতলী, গুচ্ছগ্রাম, উপজেলা সদরের লাইল্যা ঘোনা, বারবিন্দু ঘাট, তুলাবন, দূরছড়ি, বঙ্গলতলী ইউনিয়নের আংশিক, সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট, আমতলী ইউনিয়নের মাহিল্যা, খেদার মারা ইউনিয়নের সারোয়াতলী, মারিশ্যা ইউনিয়নের আংশিক, বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
এসব এলাকার বাসিন্দার বর্তমানে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। তারা আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষদের সহায়তায় শুকনো খাবার দিয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে সভা ডেকেছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ সভায় উপস্থিত থাকার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান হাবিব জিতু বাংলানিউজকে বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাময়িকভাবে খাবার পরিবেশন করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন কন্ট্রোল রুমও খুলেছে।
বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে যেতে ইঞ্জিনচালিত নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পৌঁছানো হবে বলেও জানান ইউএনও।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
জিপি