বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে রাজীবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিদ্দিকুর রহমানসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ইমরান এইচ সরকারের পারিবারিক সূত্র জানা গেছে।
ইমরান এইচ সরকারের বাবা মতিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বাড়িতে আমরা স্বামী-স্ত্রী ছাড়া কেউ থাকে না। গত রাতে মুশুলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় আমরা স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিলাম। বৃষ্টি হওয়াতে কোনো শব্দ পাইনি। সকালে উঠে দেখি ইমরানের রুমসহ পাঁচটি রুম খোলা। ঘরের ভেতরে বিভিন্ন কাগজপত্র এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে। ইমরানের সার্টিফিকেট গুলো খুঁজে পাচ্ছি না। জমির দলিল ছিল সেগুলোও নেই। কয়েকটি নতুন কাপড় ও গয়না ছিল সেগুলোও নেই। এসব স্বর্ণালঙ্কার ও কাপড়ের মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা।
ঢাকায় অবস্থানরত ইমরান এইচ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, সকালে বাবার কাছে ফোনে এ খবর পেয়েছি। বাড়িতে আমার মূল্যবান অনেক কাগজপত্র ও সার্টিফিকেট ছিল সেগুলো নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন কিছু কাপড় ছিল সোনার গয়না ছিল সেগুলোও গায়েব। বিষয়টি আমি কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।
রাজীবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এবিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অনেকে এটিকে ডাকাতি বলে গুজব ছড়ালেও প্রকৃত পক্ষে এটি একটি চুরি ছাড়া কিছুই না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
এফইএস/আরআইএস/