বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এরআগে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে ওই রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার শরিফুল দৌলতপুর প্রমোদা সুন্দরী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও স্থানীয় মৃত মাঈনুদ্দিন খোশনবিশের ছেলে।
মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্র জানা যায়, মামলার বাদীর মা প্রায়ই শিক্ষক শরিফুলের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করতেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রথম দিকে তার নাতনিকে নিয়ে ওই বাড়িতে গেলে শিক্ষক শরিফুল তাকে যৌন নিপীড়ন করেন। এরপর একাধিকবার ওই শিক্ষার্থী নানাভাবে যৌন নিপীড়নসহ ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালেও লোক-লজ্জার ভয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গণে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলা করার সময় শ্বাসকষ্টে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই মেয়েটি। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তীতে মুন্নু মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথেও ওই শিক্ষক মেয়েটিকে যৌন নিপীড়ন চালায় বলে জানা যায়।
মুন্নু মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রী কয়েকজন নার্স ও চিকিৎসকের কাছে লম্পট শিক্ষক শরিফুলের যৌন হয়রানি বিষয়টি জানায়। পরে তারা পুলিশকে জানালে ঘটনা প্রকাশ পায়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কর্মকার বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। সে শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দেওয়ার সময় অনেক কাঁদে ছিল। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে রাতেই ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার শিক্ষক শরিফুলকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে ঘটনা সম্পর্কে তাকে বিস্তারিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
জিপি