ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শিশু ধর্ষকদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
শিশু ধর্ষকদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি শিশুদের যারা ধর্ষণ করছে তাদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করা হয় মানববন্ধনে। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: শিশু ধর্ষণ, হত্যার প্রতিবাদ এবং ধর্ষকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ‘শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন’।

বুধবার (১০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে এ কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনের সদস্যরা।

মানববন্ধনে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মুঈদ হাসান তড়িৎ বলেন, গত ছয় মাসে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে শিশু ধর্ষণের সংখ্যা।

শুধু বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ছয় মাসে ৫৩৭ জনেরও বেশি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৩ শিশু, হত্যা করা হয়েছে ২০৮ শিশুকে। এছাড়া শিশুকে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা, ধর্ষণের শিকার শিশুর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বেশ কিছু। এসব ধর্ষণের ঘটনায় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমরা গভীর উদ্বেগ জানিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়নি। বছরের পর বছর ধরে মামলা চলছে, শাস্তি ঘোষণা হলেও আদালতের রায় দ্রুত কার্যকর করা হচ্ছে না। ফলে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। অনেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে আসছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে শিশুদের সঙ্গে এই জঘন্যতম ঘটনাগুলো ঘটতে থাকবে।  বর্তমান সরকার শিশুতোষ বিষয়গুলোতে বেশ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। কিন্তু শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে সরকারের সব অর্জন ম্লান হয়ে যাবে।

মানববন্ধনে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো-

এক. শিশু ধর্ষণের বিচার কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে হবে। ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক ও একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পাশাপাশি আর্থিক জরিমানা করতে হবে।

দুই. ধর্ষকের পরিচয় গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রকাশ করতে হবে এবং সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

তিন. শিশুদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিবারের সুরক্ষায় আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।

চার. ধর্ষকের বিচার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা পরিচালিত করতে হবে। প্রমাণসাপেক্ষে দেশের কোনো আদালতে কোনো আইনজীবী যেন ধর্ষকের পক্ষে আইনি লড়াই না করেন।

পাঁচ. যারা ধর্ষকের বিচার গ্রাম্য সালিশ বা নামমাত্র অর্থমূল্যে মীমাংসা করবে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

ছয়. শিশু ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতন বন্ধে এবং সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।

সাত. সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণ বন্ধে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
এমএমআই/এইচএডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad