ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডিআইজি মিজানকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
ডিআইজি মিজানকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক আদালতে ডিআইজি মিজানুর রহমান। ফাইল ফটো

ঢাকা: দুর্নীতি মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১০ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েস ১৫ জুলাই তাতে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের এ অনুমতি দেন। দুদকের সাময়িক বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার বিষয়ে ওইদিন মিজানুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

 

দুদকের পরিচালক ও এ বিষয়টির অনুসন্ধান কর্মকর্তা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ আদালতে মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন।  শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।  

নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করে দুদক। এই তদন্ত করতে গিয়ে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মিজানুর রহমান।  

গত ২ জুন খন্দকার এনামুল বাসির মিজানুরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিজানুর ৪০ লাখ টাকা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসিরকে ঘুষ দেওয়ার দাবি করেন।  

প্রমাণ হিসেবে হাজির করেন এনামুল বাসিরের সঙ্গে কথোপকথনের একাধিক অডিও রেকর্ড। তবে এনামুল বাসির তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।  

চলতি বছরের ২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলায় মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে ঢাকা মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়।

গত ১ জুলাই হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন মিজানুর রহমান। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে কাস্টডিতে নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। পরে শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।  

এরপর ২ জুলাই সকালে ঢাকার একটি আদালতে ডিআইজি মিজানুরকে হাজির করে শাহবাগ থানা পুলিশ। তার পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মিজানুর ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত থাকার সময় বিয়ে গোপন করতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।  

এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমান বন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।  

নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। গত ২৫ জুন সাময়িক বরখাস্ত হন মিজানুর।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
এমএআর/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।