সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ জুড়ে শত শত নৌকা সারিবদ্ধ করে সাজিয়ে বসে রয়েছে বিক্রেতারা। রাত পর্যন্ত চলে নৌকা কেনাবেচা।
জানা যায়, মানিকগঞ্জ জেলার চারপাশ দিয়ে নদী। এ জেলার ওপর দিয়ে পদ্মা-যমুনা, ধলেশ্বরী, ইছামতি ও কালীগঙ্গা নদী বয়ে গেছে। এছাড়াও রয়েছে অসংখ্য খাল-বিল ও ডোবা-নালা। বর্ষাকাল আসলেই ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, হরিরামপুর ও সাটুরিয়ার নিন্মাঅঞ্চল প্লাবিত হয়। তখনই চলাচলের প্রধান বাহন হয়ে ওঠে নৌকা। এসব এলাকার মানুষের দৈনন্দিন কাজের সুবিধার্থে নদী ও খালের তীরবর্তী প্রতিটি পরিবারেই নিজস্ব নৌকা থাকে। যুগ যুগ ধরে নৌকা ওই সব অঞ্চলের ঐতিহ্য বহন করে আসছে।
ঘিওর উপজেলার গোলাপনগর এলাকা থেকে নৌকা কিনতে আসা ফরিদ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর বর্ষার শুরুতেই নৌকা কিনতে হয়। এ বছরও নৌকা কিনতে এসেছি। শিমুল কাঠের ১১ হাত ডিঙি নৌকা কিনলাম ৩২শ’ টাকা দিয়ে। গত বছরের চেয়ে এ বছর নৌকার দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।
নৌকার ব্যাপারী রঞ্জিত বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ঘিওরের নৌকার হাট অনেক বছরের পুরনো। এ হাট নৌকার জন্য বিখ্যাত। এ হাটে পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের নাগরপুর, ঢাকা জেলার সাভার ও সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে শত শত নৌকা আসে এখানে। মেহগনি, কড়ই, আম চাম্বল, রেইন্ট্রি গাছে কাঠ দিয়ে নৌকাগুলো তৈরি করা হয়। আকার ও মানভেদে প্রতিটি নৌকা বিক্রি হয় ২-৭ হাজার টাকায়।
ঘিওর হাটের ইজারাদার মওলানা আব্দুল মতিন মুসা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এ ঘিওর হাট নৌকার জন্য বিখ্যাত। এ হাটে প্রতি বুধবার শত শত নৌকা নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারী আসেন। এখানে অনেক কম দামে নৌকা বেচা কেনা হয়। এজন্য এ হাটের খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
এনটি