মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার সাধের বটতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত মহারাজ পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার ছোট কাঁঠালিয়া গ্রামের আলী হোসেন হাওলাদারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৪ মে রাতে নিজ মেয়ে জেসমিন আক্তার রিঙ্কুকে গলাটিপে হত্যা করে খালে ফেলে দেয় মহারাজ। পরে পানিতে পড়ে মারা গেছে বলে প্রচার করা হয়। তদন্ত করে মঠবাড়িয়া থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন মহারাজ। পরে সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আদালত মহারাজকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন।
আসামি দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ এলাকায় বিয়ে করে নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে বসবাস করে আসছিল। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতো।
র্যাব-৬ এর স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার মেজর শামীম সরকার বাংলানিউজকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মহারাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে পিরোজপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৯
জিপি