মঙ্গলবার (৯ জুলাই)বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়া হায়দার এ কারাদণ্ডাদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার আলাইপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে লিপন আলি ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের সোনাই মণ্ডলের ছেলে হাবিল হোসেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ৯ নভেম্বর বিকেলে ওই গৃহবধূ শ্বশুরবাড়ি যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার বড়খাপুর গ্রাম থেকে বাবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আসছিলেন। তিনি গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় একা পেয়ে হাবিল হোসেন, লিপন আলিসহ ৫-৭ জন তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। গৃহবধূর পরিবার অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ৩ দিন পর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা গ্রাম থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। অভিযুক্তরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
সে বছরের ১২ নভেম্বর হারেজ মণ্ডল বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে জীবননগর থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। জীবননগর থানার এসআই শেখ আজগর আলি মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি ২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ ৫ বছর পর ৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক একজন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৪ বছর করে কারাদণ্ড ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় লিপন আলি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৯
আরএ