গত তিনদিনে খাগড়াছড়িতে প্রায় ১৭২ দশমিক ৬ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বর্ষণে গত দু’দিনে বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৮ জুলাই) সকালে শহরের মোহাম্মদপুর এলাকা আরসিসি সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ে। মঙ্গলবারও (৯ জুলাই) শালবাগান এলাকায় বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামছুন্নাহার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রশিদ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র জাফর আহম্মেদসহ প্রশাসনের সম্মিলিত একটি টিম শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার অনুরোধ জানান। ঝুঁকিতে বসবাসরত ৩০টি পরিবারকে বিকেলের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন তারা।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে মহালছড়ি উপজেলার চোংড়াছড়ি এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙ্গামাটির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক (ডিসি) শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত ও খাবার মজুদ রেখেছি। প্রত্যেকটা সরকারি বিভাগ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছি। ঝুঁকিতে বসবাসরতের সরে যেতে মাইকিংয়ের পাশাপাশি সরেজমিন গিয়ে বলা হচ্ছে। এরপরও তারা না সরলে জানমালের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা বল প্রয়োগ করবো।
এদিকে অতি বৃষ্টিতে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি সভা করেছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। এছাড়া পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন। জেলা শহরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসকসহ সরকারি কর্মকর্তারা।
খাগড়াছড়ি বিশেষ করে শহরের কলাবাগান, নেন্সিবাজার, মোল্লাপাড়া, কৈবল্যপিঠ, আঠার পরিবার, শালবন ও মোহাম্মদপুরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে সহস্রাধিক পরিবার। বিগত বছরগুলোতে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৯
এডি/জিপি