মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নে গিলামোড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রমজান ওই এলাকার মিয়া চাঁনের ছেলে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ রমজানকে হত্যার পর তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মরদেহ বাথরুমে ফেলে রেখেছে।
রমজানের বড়ভাই মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গত দেড় বছর আগে তার ভাইয়ের সঙ্গে একই গ্রামের রহমান মিয়ার মেয়ে বড় মেয়ে তারিয়া জান্নাতের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জান্নাত পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানায় রমজানকে। কিন্তু এতে রাজি ছিলেন না সে। এনিয়ে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে রমজানের মনোমালিন্য চলে আসছিল অনেকদিন ধরে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে আমরা খবর পাই রমজানের শ্বশুরবাড়ির বাথরুমে তার মরদেহ পড়ে আছে। পরে থানায় খবর দিয়ে বাথরুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মুখে বিষ ছিল বলেও জানান তিনি।
বিজয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার আদিত্য বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৯
জিপি