ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কারো কাছে আমরা পানি চাইবো না: প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১৯
কারো কাছে আমরা পানি চাইবো না: প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: পিআইডি

ঢাকা: বাংলাদেশ কারো কাছে পানি চাইবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের সমস্ত নদী খনন করে পানি ধরে রাখা হবে বলেও জানান তিনি। 

সোমবার (৮ জুলাই) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ইলিশ মাছ ও তিস্তা নদীর পানি সংক্রান্ত এক বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী একথা জানান।  প্রধামন্ত্রীর চীন সফর উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নের উত্তরে বলেন, উনি (মমতা) বলেছেন তিস্তার পানি দেইনি বলেই ইলিশ মাছ পাচ্ছি না। আমরা বলেছিলাম তিস্তায় পানি নেই, তবে ইলিশ আসবে কীভাবে?  

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দেশের সমস্ত নদী খনন করবো। বর্ষায় পানি ধরে রাখবো। কারোর কাছে আমাদের পানি চাইতে হবে না। আমরা আত্মনির্ভরশীল হতে চাই, পরনির্ভরশীল নয়। গত ১০ বছর আগে দেশের অবস্থা কী ছিল, এখন আমরা কী অবস্থায় দেশকে নিয়েছে এসেছি তা একটু বিচার করুন। দেশের এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে।  

‘আওয়ামী লীগ এদেশ স্বাধীন করেছে। সেই দেশই উন্নতি করতে পারে যারা স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে, মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছে। উড়ে এসে জুড়ে বসা কোনো দল দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারে না, অতীতে তা বারবার প্রমাণ হয়েছে। ’  

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছে, আশ্রয় দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে তাদেরও অনেক সৈন্য প্রাণ দিয়েছেন। জয় বাংলা স্লোগান এসেছে কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা থেকে। কেউ যদি জয় বাংলা স্লোগান দেয়, আমরা তো তার মুখ থেকে তো কেড়ে নিতে পারি না।  

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ব্যাপকভাবে পালন করা হবে। এজন্য সরকারিভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে, দলীয়ভাবেও আলাদা আলাদা কমিটি করা হয়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ২০২০-২০২১ বর্ষকে আমরা মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছি। স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী যেভাবে উদযাপিত হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী তারচেয়ে ব্যাপকভাবে আমরা উদযাপন করবো। সেভাবেই আমরা কর্মসূচি সাজাচ্ছি।  

আরও পড়ুন>>>‘নেতৃত্বে ভুল করলে জনগণকে খেসারত দিতে হয়’
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৯
এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।