সোমবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দুপুর ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল।
এর আগে শনিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিসহ কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ের মাটি ধসে রাস্তার উপর চলে আসে। এ কারণে সোমবার সকাল থেকে বান্দরবানের সঙ্গে থানছি ও রুমা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এদিকে সাঙ্গু নদীর পাহাড়ি ঢলে পর্যটন কেন্দ্র তিন্দু ও রেমাক্রির নৌ যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনের বর্ষণে পাহাড়ের মাটি ধসে রাস্তার উপর এসে পড়লে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকাসহ এ পথের যাত্রীরা। ওই সড়কে লোকজনকে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে।
এদিকে বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপজ্জনক হওয়ায় থানচির নৌঘাট থেকে কোনো নৌযান তিন্দু ও রেমাক্রির উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি এবং বান্দরবান থেকেও থানছির উদ্দেশে কোনো নৌযান চলাচল করেনি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পর্যটকসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
থানছি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য হ্লা চিং মার্মা জানান, প্রতিবছর দেশ বিদেশের কয়েক হাজার পর্যটক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে থানছির রেমাক্রি ও তিন্দু ভ্রমণ করে থাকেন। কিন্তু সেখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা বিদজনক হওয়ায় প্রতিবছর হতাহতের ঘটনাও ঘটে থাকে। এসব পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সড়কপথের ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকরা একমাত্র নৌযানের উপরই নির্ভরশীল। তবে বর্ষার শুরুতেই এসব এলাকায় পর্যটকদের আগমনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে ভারি বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে থাকা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সড়ে আসার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। এজন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৯
আরএ