রোববার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ রোডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় রাজনৈতিক-সামাজিক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী সংগঠনসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে আশিকের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আলাল শেখ, পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সবুজ, বেগম রোকেয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ছাবলুর রহমান, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তাহের, নিহত আশিকের বাবা নজরুল ইসলাম শেখ প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, আশিক খুন হওয়ার ২৩ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো আসামিরা গ্রেফতার হয়নি।
এদিকে, গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আশিক হত্যা মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দুই সপ্তাহ আগে মামলাটি হাতে পেয়েছি। আসামিরা এখনো পলাতক। তবে খুব শিগগিরই আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, পৌরসভার চাঁচকৈড় কাচারীপাড়া মহল্লার নজরুল শেখের ছেলে আশিকের সঙ্গে পাশের চাঁচকৈড় টুলটুলিপাড়ার জালাল মণ্ডলের ছেলে অলির (২৪) পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট রাতে পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে আশিককে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান অলি। সেসময় পাওনা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আশিককে কুপিয়ে জখম করেন অলি ও তার বাড়ির সদস্যরা। স্থানীয়রা টের পেয়ে আশিককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওই হত্যার ঘটনায় আশিকের বাবা নজরুল বাদী হয়ে পরদিন ২১ আগস্ট গুরুদাসপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অলি, তার বাবা জালাল (৫২), মা আলেয়া বেগম (৪২) ও স্ত্রী রিয়া খাতুনকে (২০) আসামি করা হয়েছে। হত্যার ঘটনার পর থেকে বসত-বাড়ি ফেলে তারা সবাই পলাতক রয়েছেন।
** নাটোরে মাদকের টাকাকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
এসআরএস