রোববার (০৭ জুলাই) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে মেনন এ প্রস্তাব করেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া সভাপতিত্ব করেন।
মেনন বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাজেট পাশের মাত্র ৬ ঘণ্টার মাথায় বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) গ্যাসের দাম বাড়ালো। এতে শিল্পে, পরিবহনে, সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে জনগণের মধ্যে হতাশা আছে, এটা প্রশ্নোত্তরে কৃষিমন্ত্রী বলেছেন। আমি নিজেও হতাশ। বাজেট বক্তৃতায় আমি গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে সংসদে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আলোচনা হয়নি, কিন্তু বাজেট পাশের পরই দাম বাড়ানো হলো। এটি সংসদের প্রতি চরম অবমাননা, সংসদকে এড়িয়ে যাওয়া।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ বাম গণতান্ত্রিক জোট দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতাল ডাকে। এই হরতালকে বিএনপি সমর্থন দিয়েছিলো, তবে সমর্থন দিলেও তারা রাস্তায় নামেনি। হরতাল হয়েছে কি হয়নি, কতটুকু হয়েছে, অন্যান্য দিনের চেয়ে যানজট বেশি ছিলো এই কথা বলে কূটতর্ক করে লাভ নেই। ভারত ১০০০ সিএফটি এলএনজি আমদানি করে সাড়ে ৬ ডলারে, আমরা আমদানি করি সাড়ে ১০ ডলারে। এলএনজির দাম বাড়লে সিএনজি বন্ধ হয়ে যাবে। আসলে এলএনজির বাজার ঠিক করার জন্যই কি এই সিদ্ধান্ত?
মেনন আরও বলেন, সংসদে আলোচনার ব্যবস্থা করুন। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। জনগণের কথা শোনার দায়িত্ব সরকারের, সংসদের কথা শোনার দায়িত্ব সরকারের। গ্যাসের মূল্য বাড়ায় কি পরিস্থিতি আপনি, আমি সবাই জানি। আমি নোটিশ দিয়েছি সংসদের অধিকার রক্ষার্থে কথা বলা সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
মেননের বক্তব্যের পর ডেপুটি স্পিকার বলেন, আপনার নোটিশটি স্পিকারের বিবেচনায় আছে। নোটিশটি গৃহীত হলে আলোচনার সুযোগ পাবেন।
** মিডিয়াতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ হলে ব্যবস্থা
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
এসকে/জেডএস