ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শরণখোলায় বেড়িবাঁধসহ ১০ বিঘা জমি নদীগর্ভে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৯
শরণখোলায় বেড়িবাঁধসহ ১০ বিঘা জমি নদীগর্ভে ভাঙন কবলিত এলাকা। ছবি: বাংলানিউজ

বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলায় ভাঙনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধসহ ১০ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

শনিবার ও রোববারের (৭ জুলাই) ভাঙনে উপজেলার দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের আশার আলো মসজিদ কাম সাইক্লোন শেল্টারের সামনের প্রায় ৩শ’ মিটার বেড়িবাঁধ ও ১০ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে সেখানের পাঁচটি দোকান ও কয়েকশ’ গাছপালা নদীতে ভেসে যায়।

 

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই তাদের ঘর, দোকান-পাট, গাছ-পালা কেটে সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি এসে আমনের বীজতলাসহ বাড়ি-ঘর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সাউথখালীর হাজারো মানুষ।

এদিকে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস রোববার দুপুরে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

ভাঙন কবলিত এলাকা।  ছবি: বাংলানিউজভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের মোহাম্মদ আলী খান বলেন, শনিবার সকালে আশার আলো মসজিদের সামনের বেড়িবাঁধসহ প্রায় সাত বিঘা জমি আমার চোখের সামনেই নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে আমার একটি দোকান ঘরসহ আরও কয়েকজনেরও দোকান ঘর নদীতে ভেসে গেছে।

সাউথখালী গ্রামের কমলা বেগম বলেন, শুধুমাত্র একটি টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে প্রায়ই ভাঙনের কবলে পড়তে হয় আমাদের। নদীর পানিতে ভেসে যায় ঘর-বাড়িসহ মূল্যবান সম্পদ।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, বেড়িবাঁধে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এখানে শিগগিরই বাঁধ নির্মাণ না হলে জোয়ারের পানি ভাঙন এলাকা দিয়ে প্রবেশ করলে সাউথখালীর অন্তত আটটি গ্রাম প্লাবিত হবে। আমন ধানের চাষ করতে পারবেন না চাষিরা। এ অবস্থায় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের কাছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

ভাঙন কবলিত এলাকা।  ছবি: বাংলানিউজসাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, পরিকল্পনা ছাড়াই একের পর এক বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিআইপি প্রকল্পের লোকজন। ফলে বেড়িবাঁধের বগী এলাকা বারবার ভাঙছে। এ কারণে এলাকার মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়টি এখনই গুরুত্বের সঙ্গে না দেখলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

সিইআইপি প্রকল্পের শরণখোলার প্রকৌশলী শ্যামল দত্ত বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। সোমবার থেকে রিং বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বলেন, ভাঙনের বিষয়টি বাঁধ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হয়েছে। এ নিয়ে গত দু’বছরে সাত বার ভেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকার মানুষ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।