ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চীন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন সোমবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৯
চীন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন সোমবার

ঢাকা: সদ্য শেষ হওয়া চীন সফর নিয়ে সোমবার (০৮ জুলাই) সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটিতে তার পাঁচদিনের দ্বি-পক্ষীয় সরকারি সফরের নানা বিষয় জানাতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। 

শনিবার (০৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সোমবার বিকেল ৪টায়েএ সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।

এর আগে শনিবার দুপুরে দেশে ফিরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীন সফর শেষে বিদায়বেলায় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। চীনের ভাইস ফরেন মিনিস্টার লু ঝায়োহু এবং চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. ফজুলল করিম তাকে বিদায় জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফরকালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। তিনি চীনের দালিয়ান শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) অ্যানুয়াল মিটিংয়ে যোগ দেন এবং ‘কো–অপারেশন ইন দ্য প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মিয়ানমারকে বোঝানোর বিষয়ে ঢাকাকে আশ্বস্ত করেছে বেইজিং।

এদিকে বেইজিংয়ে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার (সিপিসি) মিনিস্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স সং তায়ো’র সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।  

এ সময় সিপিসি মিনিস্টার প্রলম্বিত রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচি এবং মিয়ানমারের অন্য নেতাদের সঙ্গে তার দলের আলোচনার বিষয়ে শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ঢাকা এবং বেইজিংয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাসংক্রান্ত ৯টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। গত ৪ জুলাই চীনা প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন সিপিসির কার্যালয় গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়।

যার মধ্যে রয়েছে- রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তার জন্য এলওই (লেটার অব এক্সচেঞ্জ) এবং অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ, সংস্কৃতি এবং পর্যটনসংক্রান্ত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক।

স্বাক্ষরিত অন্য দলিলগুলোর মধ্যে আছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্যসংক্রান্ত এলওই, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পর্যটন কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা স্মারক, ইয়ালু ঝাংবো ও ব্রহ্মপুত্র নদের তথ্য বিনিময়সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক ও তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা।

এর আগে গত ১ জুলাই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে সরকারি সফর ও ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের গ্রীষ্মকালীন সম্মেলনে যোগ দিতে দেশটিতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৯
এমইউএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad