শনিবার (৬ জুলাই) স্থানীয় সময় ১১টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইট বেইজিং বিমানবন্দর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান চীনের সহ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুয়ো ঝাওহুই, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম প্রমুখ।
গত ১ জুলাই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে সরকারি সফর ও ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের গ্রীষ্মকালীন সম্মেলনে যোগ দিতে দেশটিতে যান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ানে পৌঁছানোর পর ২ জুলাই সকালে সেখানকার আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ‘অ্যানুয়াল মিটিং অব দ্য নিউ চ্যাম্পিয়নস-২০১৯’ শীর্ষক গ্রীষ্মকালীন সম্মেলনে অংশ নেন। এরপর বিকেলে ‘কো-অপারেশন ইন দ্য প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।
দালিয়ান থেকে বেইজিংয়ে গিয়ে ৩ জুলাই প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ৪ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ৯টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
দুপুরে চীনা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভোজে যোগ দেন শেখ হাসিনা। এদিন বিকেলে চীনের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকেও অংশ নেন তিনি।
এরপর শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে রোহিঙ্গা সংকটসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন তারা। এরপর রাতে চীনা প্রেসিডেন্টের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৯
এমইউএম/এইচএ/