ঢাকা, রবিবার, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

গুলিস্তান-মাওয়া বাসসেবায় খুশি যাত্রীরা, ভোগান্তি যানজটে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:১৫, জুলাই ৫, ২০১৯
গুলিস্তান-মাওয়া বাসসেবায় খুশি যাত্রীরা, ভোগান্তি যানজটে ফাইল ছবি

ঢাকা: প্রতি ২০ মিনিট অন্তর-অন্তর মাওয়া ফেরিঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে বাস। কম সময় পর-পর বাস ছেড়ে যাওয়ায় বেশ খুশি এ রুটের যাত্রীরাও। তবে গুলিস্তান থেকে বাবুবাজার ব্রিজ পাড় হওয়া পর্যন্ত বেশ কয়েকবার যানজটে আটকে ভোগান্তিসহ ব্যয় হচ্ছে লম্বা সময়। ফলে সার্ভিস ভালো হলেও কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো হচ্ছেনা যাত্রীদের। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া বিআরটিসি বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, নতুন ও গোছানো বেশ কিছু বাস সারি-সারি দাঁড়ানো ফুলবাড়িয়া বিআরটিসি বাস টার্মিনালের প্রবেশমুখে। একপাশ দিয়ে বাসগুলো ঢুকছে, অপর দিকে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের দিক দিয়ে বের হচ্ছে।

২০-২৫ মিনিট অন্তর-অন্তর বাস ছাড়লেও যাত্রীরা জড়ো হচ্ছেন একটি বাস ছাড়ার পরপরই। কিন্তু কখন এসি আর কখন নন-এসি বাস চলবে তার কোনো ঘোষণা না থাকায় প্রায়ই ঝামেলায় পড়ছেন যাত্রীরা।  

টার্মিনালটিতে শুধুমাত্র বিআরটিসি বাসের অবস্থান ও ছেড়ে যাওয়ায় অন্য কোনো সমস্যা পোহাতে হচ্ছে না যাত্রীদের। সীমিত সময়ের মধ্যে বাস ছেড়ে দেওয়ায় এখানে কোনো ভোগান্তি না হলেও গুলিস্তান থেকে বাবুবাজার ব্রিজ পাড় হতে বেশ সময় যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে বাসগুলোকে। ফলে এসময়টাতে যাত্রীরা কিছুটা দুর্ভোগে পড়েন বলে জানান যাত্রী ও বাসের কন্ডাক্টররা।  

প্রতিটি এসি বাসের টিকিট ১২০ টাকা ও নন-এসি টিকিট ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে বাসের রুট গুলিস্তান টু মাওয়া ঘাট হলেও পথে বেশ কয়েক জায়গায় যাত্রী ওঠা-নামা করার অভিযোগ উঠেছে বাসচালক ও বাসের কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে। নিজেদের লাভের জন্যই তারা এমনটা করেন বলে মনে করেন যাত্রীরা।  
 
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টার্মিনালে কোনো ধরনের ঝামেলা পোহাতে হচ্ছেনা তাদের। নির্দিষ্ট সময় ধরেই একের পর এক বাস পাওয়া যাচ্ছে এখানে। সরাসরি কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে বাসে আসন নেওয়ায় নেই বাড়তি কোনো ঝামেলা। গুলিস্তান থেকে বাবুবাজার ব্রিজের যানজট না পোহাতে হলে আরও সুন্দর ও সুশৃঙ্খল যাত্রা হতে পারতো বলেই মত তাদের। এছাড়া আগামী সময়ে বাসের সার্ভিস যেন কোনোভাবেই নিম্নগামী না হয় সেদিকে সরকারকে নজর রাখা উচিত বলেও মনে করেন এ রুটের যাত্রীরা।  

রুহুল আমিন নামে একজন যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, কিছুদিন হলো এর উদ্ভোধন হয়েছে। আপনি এখনি এর খারাপ দিক পাবেন না। কিছু দিন যাবার পর আসল রূপ দেখা যাবে। তবে আশা করছি আগামী দিনে এটি আরও ভালো সার্ভিস দেবে।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কন্ডাক্টর বাংলানিউজকে বলেন, যথেষ্ট পরিমাণ যাত্রী রয়েছে এ রুটে। তাই খুব একটা হাঁক-ডাক ছাড়াই পর্যাপ্ত যাত্রী পাচ্ছে সব ক’টি বাস। চলতি পথে সবসময় বাস না দাঁড়ালেও যাত্রীরা মাঝপথে বা কোথাও নামতে চাইলেতো দাঁড়াতেই হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৯
কেডি/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।