জানা যায়, কয়েক বছর আগে ঘরের বেলকনিতে খেলার সময় পাশ দিয়ে যাওয়া তারের স্পর্শে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। এছাড়া প্রতিনিয়ত শহরের মার্কেট কিংবা বাসা বাড়িতে ঘটেই চলেছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে জেলা শহরের প্রধান সড়কের পাশে মাকড়সার জালের মতো ঝুলে রয়েছে বিভিন্ন রকমের তার। শহরের সরকারি অফিসগুলোর সামনে তারের জটলা আরও বেশি। যে কেউ হাত দিয়ে তারগুলো স্পর্শ করতে পারবে। কিন্তু এরমধ্যে কোনটা বিদ্যুতের তার এবং কোনটা ডিস, ইন্টারনেট বা টেলিফোনের তার তা বোঝার কোনো উপায় নেই।
বিসমিল্লাহ্ সুপার মার্কেটের মালিক সাইফুল্লাহ্ বাংলানিউজকে বলেন, কয়েক বছর আগে আমার বোনের ছেলে (ভাগিনা) বারান্দায় খেলতে গিয়ে পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে সে মারা যায়। এখনো আমার বাসার বেলকনির সামনে ঝুলে রয়েছে অসংখ্য তার। যা দেখে বোঝার উপায় নেই কোনটা কিসের তার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের মার্কেটের সামনেও বিদ্যুৎ, ডিস ও ইন্টারনেটের তারের জটলা রয়েছে। আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে থাকি। মাঝে মধ্যেই শর্টসার্কিট হয়। এসব এলোমেলো তারের কোনো ব্যবস্থা না করা হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, পৌরসভার ভেতরে তারের এলোমেলো জটলার কারণে শহর যেমন তার নিজস্ব সৌন্দর্য হারাচ্ছে ঠিক তেমনি মানুষ ও সম্পদও ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। এতে করে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুঘর্টনা। এটা সমাধান করতে হলে আমাদের পাশাপাশি বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনেরও কাজ করতে হবে।
মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম (টেকনিক্যাল) শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, মানিকগঞ্জ পৌরসভার ভেতরে যে সব এলোমেলো তারের জটলা রয়েছে তা অপসারণের জন্য ইতোমধ্যে আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌরসভার বিদ্যুতের তার সংযোগ কিভাবে যাবে সেজন্য সার্ভে করা হচ্ছে। সার্ভে করা হলে ডিজাইন পাসের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। ডিজাইন পাস হলে অল্প সময়ের মধ্যে আন্ডারগ্রাউন্ড দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শুরু করবো।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৯
এনটি