বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় ৭৪ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-১১-এর অপারেশন অফিসার জমিস উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে ও জব্দ নথিপত্র পর্যালোচনা করে ওই ভুয়া এমএলএম কোম্পানি মাসিক ১৬ হাজার ও তদূর্ধ্ব টাকা বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনটি ভিন্ন প্যাকেজে চাকরি দেওয়ার কথা বলতো। পরে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ২৭ হাজার ১০০, ৩৭ হাজার ১০০ ও ৪৭ হাজার ১০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতো।
পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের নামে সপ্তাহখানেক কালক্ষেপণ করে প্রত্যেককে নতুন দু’জন সদস্য সংগ্রহের শর্ত দেয়। নতুন সদস্য সংগ্রহ করে দিলে সংগৃহীত টাকার সামান্য কমিশন দেওয়া হতো। নতুন সদস্য দিতে না পারলে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে খালি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। প্রতিবাদ করলে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনের রেকর্ড রয়েছে। এ ঘটনায় সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৩২ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে ৭৪ জন ভিকটিমকে।
আটকরা হলেন- সেলিম রেজা, বাবুল হোসেন, মো. আলতাফ হোসেন, মো. আবু নসর, মো. শাহীন, জালাল আহম্মদ, মো. লুৎফর রহমান, মো. সিরাজ, মো. সাজ্জাদ, মামুন খন্দকার, মো. শাকিল, নাজমুল হক, শ্রী পলাশ সরকার, মো. মাসুদ রানা, মো. তালহা, মো. সাইদুর, আব্দুর রহমান, জেভিয়ার জেংচাম, মো. সাকিব, অ্যালভিন, রহিম বাদশা, বাপন, রুবেল হোসেন, সিপন রায়, আমিনুর রহমান, তাসলিম উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম, শওকত হোসেন, আরাফাত, আনোয়ার হোসেন ও নাজমুল হক।
এসময় ওই কোম্পানির অফিস থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল, কম্পিউটার, ভুয়া ট্রেড লাইসেন্সসহ বেশ কিছু ভুয়া কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
আরএস/এএ