বুধবার (৩ জুলাই) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- সোহেল শেখ, কাজল দাস, সাজ্জাদ হোসেন ও সজিব শেখ।
জানা যায়, গত ২৯ জুন রাতে জেলার শিবচরের শিরুয়াইল ইউনিয়নের উৎরাইল চৌধুরী বাড়ির কাইয়ুম চৌধুরীর ঘরে ও পার্শ্ববর্তী দত্তপাড়ার গুয়াগাছিয়া গ্রামের প্রবাসী সিরু মুন্সির বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাতদল গৃহকর্তা কাইয়ুম চৌধুরীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে আলমারি ভেঙে ২৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৫০ হাজার টাকা ও একটি বন্দুক লুট করে নিয়ে যায়। আর সিরু মুন্সি (মালয়েশিয়া প্রবাসী) ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে নগদ ৭০ হাজার টাকা, ৫-৬ ভরি স্বর্ণ লুট করে। এ ঘটনায় সিরু মুন্সি বাদী হয়ে শিবচর থানায় মামলা করেন। পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে নামে। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার রাতে মোটরসাইকেল চালক সজিব শেখকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের দিকনগর থেকে গ্রেফতার করে।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই গ্রাম থেকে সাজ্জাদ শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উভয়েই ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করে ও তাদের কাছ থেকে কিছু লুট করা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। ওই দুই ডাকাতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জেলার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বাজার থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সোহেল শেখ ও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বামনডাঙ্গা বাজার থেকে কাজল জুয়েলার্সের মালিক কাজল দাসকে গ্রেফতার করে। এ দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ী সক্রিয় ডাকাত দলের সদস্য। তারা চুক্তিভিত্তিক ডাকাতির মালামাল ক্রয় ও ডাকাতিতে বিনিয়োগ করেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে শিবচর থানার তদন্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) আমির হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ডাকাত চক্রের চার সদস্যের কাছ থেকে লুট করা সাড়ে ১১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৫২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
জিপি