জানা যায়, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। তবে সড়কের বেহাল দশার কারণে অনেকেই বেশি টাকা ও সময় খরচ করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করেন।
পটুয়াখালী জেলা শহরের সঙ্গে বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা এবং রাঙ্গাবালী উপজেলার মানুষের সড়ক যোগাযোগ অনেকটাই সহজ করেছে আন্তঃউপজেলা এ সড়কটি। এর ফলে হাজারো মানুষ যাতায়াত করে এ সড়ক দিয়ে। তবে দীর্ঘদিনেও এই আট কিলোমিটার সড়ক সংস্কার না করায় এটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার নবগঠিত ভুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুবেল আহমেদ মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, পটুয়াখালী সদর উপজেলার দুটি ইউনিয়নের পাশপাশি এই সড়কটি ব্যবহার করে জেলার চারটি উপজেলা এবং ভোলা জেলার লালমোহনের মানুষ এই সড়ক দিয়ে পটুয়াখালী যাতায়াত করে।
প্রতিদিন কয়েকশ’ শিক্ষার্থী সড়কটি ব্যবহার করে জেলা শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে শহরের বাজারে যায়। কিন্তু ভাঙাচোরা সড়কের কারণে যেমন বাড়তি সময় অপচয় হচ্ছে। তেমনি ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে। সড়কটি সংস্কার করা হলে এই এলাকার কৃষকেরা যেমন তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন তেমনি স্থানীয়দের আর্থ সামাজিক অবস্থারও ইতিবাচক পরির্বতনে সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী হোসেন আলী মীর বাংলানিউজকে জানান, লোহালিয়া থেকে কাশিপুর পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কটি ২৪ ফিট প্রস্থ করে এবং ৪০ মিলি কার্পেটিং করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী অর্থ বছরেই সড়কটি সংস্কারের জন্য যাবতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
তবে স্থানীয়রা সড়কটির যথাযথ মান রক্ষা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার ও প্রশস্তকরণের কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৯ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৯
এনটি