ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফাটল ধরেছে ব্রিজের পিলারে, বেশিরভাগ স্লিপারে নেই হুক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৯ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৯
ফাটল ধরেছে ব্রিজের পিলারে, বেশিরভাগ স্লিপারে নেই হুক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ফাটল ধরেছে ব্রিজের পিলারে। বেশিরভাগ স্লিপারে নেই হুক। কাঠের স্লিপারগুলোও বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ রকম ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর উপর দিয়েই প্রতিদিন চলাচল করছে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে গমনকারী বিভিন্ন ট্রেন। দেশের বৃহৎ এই দু’টি রেলপথে প্রতিদিন মেইল, লোকালসহ ৫০টি ট্রেন চলাচল করে।

সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ এ রেলপথের কুরুলিয়া সেতু ও গঙ্গাসাগর সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের মতে এসব সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করতে গিয়ে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রেলপথে তেমন কোনো সমস্যা নেই। যেখানেই সমস্যা হচ্ছে সেখানেই কাজ করা হচ্ছে।  

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস নদীর উপর ব্রিটিশ আমলে নির্মিত কুরুলিয়া রেলসেতু ও আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর রেলসেতু দাঁড়িয়ে থাকলেও এতে নানা সমস্যা রয়েছে। কিছু কিছু স্লিপারে ক্লিপ নেই। আবার কিছু স্লিপারের নাটগুলো ঢিলা। সে কারণে সেতুগুলোর উপর দিয়ে দ্রুতগতিতে ট্রেন চলাচল করলে প্রায়ই কেঁপে ওঠে সেতু। সেইসঙ্গে রেললাইনে পাথরের স্বল্পতাও রয়েছে। তাই কোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় ট্রেনের গতি কমিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে।

স্লিপারে নেই হুক।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, সেতুগুলো দিয়ে যখন ট্রেন চলাচল করে তখন আতঙ্কে থাকতে হয়। কারণ সেতুগুলোর অনেক অংশই নড়বড়ে হয়ে গেছে। স্লিপারের কাঠগুলো অনেক পুরাতন হওয়ায় এগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই সরকারের কাছে স্থানীয়দের দাবি অচিরেই এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো ভালভাবে মেরামত করা হোক।

শহরের কাউতলী এলাকার বাসিন্দা নাদির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সেতুগুলো অনেক পুরাতন। ধীর গতিতে ট্রেন চলাচল করলেও কখন যে কি ঘটে তা বলা যায় না।  

কথা হয় গঙ্গাসাগর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আলিমের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সম্প্রতি শায়েস্তাগঞ্জের রেল দুর্ঘটনার পর আমরা শঙ্কিত। কেননা রেলসেতুর জায়গায় জায়গায় স্লিপারের নাট-বল্টু ঠিক নেই। আবার রেললাইনে পাথরও কম রয়েছে।  

একই এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বাংলানিউজকে বলেন, দ্রুতগতিতে ট্রেন চলাচলের ফলে রেললাইনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ লুজ হয়ে যায়। এর আগে প্রতিনিয়ত রেল সংশ্লিষ্টরা লাইনগুলোর দেখভাল করলেও, এখন তেমন দেখা যায় না।  

রেললাইনের বর্তমান চিত্র।

এদিকে আখাউড়া রেলওয়ে বিভাগের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আক্তার খান ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ও রেলপথের কথা অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, কোথাও সমস্যা মনে হলেই ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যেখানেই সমস্যার খবর পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই আমরা ছুটে যাচ্ছি। প্রতিনিয়তই রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণে নজরদারি রাখা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।