বুধবার (০৩ জুলাই) দুপুরে যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন-সদর উপজেলার ঘোড়াগাছা গ্রামের সবদুল ইসলাম ও আবদুল হাকিম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত শিশু ইমরানের বাবার সঙ্গে তার মা কহিনূরের বিচ্ছেদ ঘটে। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত সবদুলের সঙ্গে বিয়ে হয় কহিনূরের। বিয়ের পর তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে ইমরানকে হত্যার হুমকি দিতো সবদুল। ছেলের জীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে দেখে কহিনূর তার দ্বিতীয় স্বামী সবদুলকে তালাক দেয়। তাদের বিচ্ছেদের প্রায় সাত মাস পরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ইমরান।
এ ঘটনায় ইমরানের নানা হায়াৎ আলী মল্লিক বাদী হয়ে সাবেক জামাই সবদুল, আবদুল হাকিম, ইদ্রিস আলী ও ইকবাল হোসেনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
যশোর স্পেশাল জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এসএম বদরুজ্জামান পলাশ বাংলানিউজকে বলেন, আদালত সবদুল ও আবদুল হাকিমকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। এছাড়া ইদ্রিস আলী ও ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন।
রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত আবদুল হাকিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। সবদুল পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৯
এইচএডি/ওএইচ/