রোগীর স্বজনদের অভিযোগ- চিকিৎসকের অবহেলায় উর্মির মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ইতোমধ্যে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বুধবার (০৩ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে হাসপাতালে ২১২ গাইনি ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়। উর্মি কামরাঙ্গীচর মাতবর বাজার এলাকায় স্বামী দোকান কর্মচারি জাকির হোসেন সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
মৃত নারীর দেবর ইমন বাংলানিউজকে জানান, দেড় বছর আগে তার ভাইয়র সঙ্গে উর্মির বিয়ে হয়। সে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো। মঙ্গলবার (০২ জুলাই) রাত ১০টায় তার ব্যথা উঠলে রাজধানীর শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শে ঘণ্টাখানিক পর তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ নিয়ে আসা হয়।
জরুরি বিভাগ থেকে তাকে রেফার করা হয় হাসপাতালের ২১২ গাইনি ওয়ার্ডে। গাইনি ওয়ার্ডে নেওয়ার পরে তার ব্যথা আরও বেড়ে যায়। সারারাত গাইনি ওয়ার্ডে ব্যথায় ছটফট করতে থাকে সে। বিষয়টি বারবার চিকিৎসকদের জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। অস্ত্রোপচার লাগবে না এমনই ডেলিভারি হবে বলে চিকিৎসকরা জানান।
এরপরে সে (উর্মি) নিজেই চিৎকার করে চিকিৎসকদের বলতে থাকে- আমি সহ্য করতে পারছি না সিজার করে সন্তান বের করুন, তা না হলে আমি মারা যাবো। তাতেও কোনো লাভ হয়নি। অবশেষে ভোর ৬ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ইমন অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসকদের অবহেলায় তার ভাবির মৃত্যু হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে উর্মি নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু নিয়ে কিছুটা হট্টগোল হয়েছে শুনে আমি নিজেই সেখানে ছুটি যাই। স্বজনদের বক্তব্য শুনে তাদের সান্তনা দেই।
তিনি আরও বলেন, তারা আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢামেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সাইদা আনোয়ারকে প্রধান করে ৬ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তিন কার্যদিবসে রিপোর্ট পেশ করবেন। তদন্তে চিকিৎসকের অবহেলা প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৯
এজেডএস/ওএইচ/