বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) সাজ্জাদুর রহমান তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতার তিনজন হলেন- কেশবপুরের সরফাবাদ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ও নোরিম মোড়ল এবং একই উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের আজগর হোসেন।
এসপি সাজ্জাদুর রহমান জানান, শাহিনকে গুরুতর আহত করে ভ্যান ছিনিয়ে নেওয়ার প্রধান হোতা নাঈমুলকে সোমবার (১ জুলাই) গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে গ্রেফতার আসামিদের বিষয়ে তথ্য দেন। সে মোতাবেক এএসপি মোহাম্মদ ইলতুৎমিশের নেতৃত্বে বুধবার ভোরে পুলিশের একটি দল কেশবপুরের সরফাবাদ গ্রামে অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে জাহাঙ্গীর ও নোরিম এবং একই উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আজগরকে গ্রেফতার করে।
এ মামলার অভিযোগপত্র আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল হবে বলেও জানান এসপি।
২৮ জুন (শুক্রবার) দুপুরে যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের হায়দার আলী মোড়লের ছেলে কর্মজীবী কিশোর শাহীনের ভ্যান যাত্রীবেশে ভাড়া নেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়ায় নিয়ে রাস্তার দু’পাশের পাট ক্ষেতের নির্জন স্থানে শাহীনের মাথায় আঘাত করে তার শেষ সম্বল ভ্যান গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। মাথায় আঘাতের ফলে ওখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে শাহীন। একপর্যায়ে জ্ঞান ফিরলে তার কান্নার শব্দে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। পুলিশ শাহীনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে অবস্থার অবনতি হলে পরদিন শনিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার চিকিৎসা শুরু হয়। বর্তমানে শাহীন ঢামেক আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় শাহীনের বাবা হায়দার আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পাটকেলঘাটা থানায় একটি মামলা করেন। এ পর্যন্ত ছয়জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
** শাহীনের ভ্যান উদ্ধার, গ্রেফতার ৩
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৯
এসআরএস