মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি কার্যালয়ে এক কর্মশালায় এ প্রোগ্রামের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন নগর পরিকল্পনাবিদ ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন ও নগর পরিকল্পনা নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এসময় নগর বিশেষজ্ঞরা জানান, পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীর মানিকমিয়া এভিনিউতে মাসের প্রথম শুক্রবার কার-ফ্রি ডে হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এভাবে রাজধানীর অন্য এলাকায়ও সপ্তাহের বা মাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে কার ফ্রি ডে’র আয়োজন করা যেতে পারে।
নগর পরিকল্পনাবিদেরা বলেন, শহরে শিশুদের জন্য খেলার মাঠ বা অন্য স্থানের অনেক অভাব। যেগুলো আছে তার বেশিরভাগই আবার সংস্কারের অভাবে খেলাধুলার অযোগ্য। যানবাহনের ভয়ে শিশুরা বাসার নিচের সড়কেও বিচরণ করতে পারে না। এমন সমস্যার সমাধানে কার ফ্রি ডে দারুণ এক সমাধান হতে পারে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের।
কর্মশালায় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশন তার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট রয়েছে। তবে নগরবাসীকেও সুনাগরিক হতে হবে। একজন সুনাগরিক যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলতে পারেন না; একজন সুনাগরিক ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হবেন; ট্রাফিক আইন মেনে চলবেন। শিশুদের বিকাশে তাদের খেলাধুলার সুযোগ দিতে হবে। তারা তাদের মতো অবাধ বিচরণ করবে কোনো ধরনের ভয় ছাড়া। তাদের সেই পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনার-আমার আমাদের সবার।
নগর পরিকল্পনাবিদদের নিয়ে এ ধরনের কর্মশালা, সেমিনার অব্যাহত থাকবে জানিয়ে মেয়র বলেন, চলতি মাসেই ‘সুশাসন ও সুনাগরিক’ শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করা হবে। তিনি নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে এবং নাগরিক সেবাদান সুনিশ্চিত করতে নগর পরিকল্পনাবিদদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এসময় অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনা বিভাগকে আরো ঢেলে সাজাতে হবে। এ বিভাগে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করতে হবে। নগর গবেষণা কেন্দ্র (সিইউএস) নগর পরিকল্পনার বিষয়ে সবসময় ডিএনসিসিকে সহযোগিতা দেবে।
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক এএফএম জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম নাজেম, অধ্যাপক মো. গোলাম মরতুজা, ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশের গবেষক মারুফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৯
এসএইচএস/এএ