ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলায় আরো ২ জনের আত্মসমর্পণ

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৯
শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলায় আরো ২ জনের আত্মসমর্পণ

ঈশ্বরদী (পাবনা): তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে বোমা হামলা ও গুলির ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় বুধবার (৩ জুলাই) ঘোষণা করা হবে। রায়ের আগে পলাতকদের মধ্যে হুকুমদাতাসহ আরও দু’জন আত্মসমর্পণ করেছেন।

তারা হলেন- ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান বাবলু এবং বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম টেনু।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রুস্তম আলীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তিনি জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ নিয়ে ঈশ্বরদী বিএনপির ৩২ জন নেতাকর্মী আলোচিত এ মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে গেলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর  (পিপি) অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান মুক্তা বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এরআগে ৩০ জুন (বুধবার) একই আদালতে বিএনপির ৩০ জন নেতাকর্মী আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান।  

১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর খুলনা থেকে ট্রেনে ঈশ্বরদী হয়ে সৈয়দপুরের দলীয় কর্মসূচিতে যাচ্ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলের নেত্রী শেখ হাসিনা। তাকে বহনকারী ট্রেনটি (রূপসা এক্সপ্রেস) ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে প্রবেশের মুহূর্তে ওই ট্রেন ও শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। স্টেশনে যাত্রাবিরতি করলে আবারও ট্রেনটিতে হামলা চালানো হয়।

এ ঘটনায় পরবর্তীতে দলীয় কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে শেখ হাসিনা দ্রুত ঈশ্বরদী ত্যাগ করেন। পরে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জিআরপি থানার ওই সময়কার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন।  

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর পুলিশ মামলাটি পুনঃতদন্ত করে। তদন্ত শেষে নতুনভাবে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এ মামলার আসামি করা হয়।  

এদিকে মামলা করার পর ওই বছর কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। কিন্তু আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য তা সিআইডিতে পাঠান। পরে তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে সিআইডি।

গত ২৫ বছরে এই মামলার ৫২ জন আসামির মধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন। তারা লেন- ওসিয়া, আলী আজগর, খোকন, তুহিন ও আলমগীর।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।