তিনি বলেন, ভর্তুকি দিয়ে আর কতো চালানো যাবে। বিদেশ থেকে আমদানি করা গ্যাসে যে পরিমাণ খরচ পড়ে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু ক্যাং-ইলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। এ সময় বাণিজ্য সচিব মফিজুর ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ায় ব্যবসায় অবশ্যই প্রভাব পড়বে। আমাদের নিজস্ব সোর্স থেকে গ্যাস শেষ হয়ে আসছে। ভবিষ্যতে গ্যাসের চাহিদা পুরোনে আমাদের আরো বেশি বেশি গ্যাস আমদানি করতে হবে। আমরা আমদানি করেই গ্যাসের চাহিদা পূরণ করবো।
শিল্প খাতে যতো গ্যাস প্রয়োজন তা দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বলেছেন উল্লেখ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমদানিতে যে দাম পড়ছে সেভাবে বাড়ানোর কথাতো চিন্তাও করা যাবে না। তবে দাম কিছুটাতো সমন্বয় করতে হবে। চিন্তা ভাবনা করেই দাম বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে শিল্পখাতসহ বিনিয়োগেও কিছুটা চাপ বাড়বে। তবে সেটাকে মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল যেনো আলোচনা করে এটা করা হয়। আগামীতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আরো আলোচনা করতে হবে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য পণ্যের দাম কি পরিমাণ বাড়বে এটাও দেখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাড়িতে বাড়িতে গ্যাস দেওয়া হচ্ছে। সেখানেও দাম বাড়ানো হয়েছে। যদি দুই কোটি মানুষকে ভর্তুকি দিয়ে গ্যাস দেওয়া হয় তাহলে ১৩ থেকে ১৫ কোটি মানুষের ওপর চাপ পড়বে। তারপরও এক্ষেত্রে দামটা এমনভাবে বাড়ানো হয়েছে যাতে চাপটা সহ্য করা যায়। তবে কোনো কিছুর দাম বাড়লে তার একটা প্রতিক্রিয়া হয় এটাই স্বভাবিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৯
জিসিজি/আরআইএস/