সোমবার (১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে পাইন্দু খালে জান্নাত আরার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে সেখান থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের সদস্যরা।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের নিয়াক্ষ্যং পাড়ার কাছে খালের পানিতে বাংলাদেশ নৌ কর্মকর্তা সাব- লেফটেন্যান্ট মো. আসিফের মরদেহটি দেখতে পেয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে সেনা সদস্যরা গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
বান্দরবান সেনা রিজিয়নের কর্মকর্তা (জিএসও-২) মেজর ইফতেখার জানান, উদ্ধার হওয়া মরদেহটি নৌ কর্মকর্তা সাব-লেফটেন্যান্ট মো. আসিফের এবং অন্য জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ জান্নাত আরার বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কাশেম চৌধুরী জানান, মরদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্যে বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় বান্দরবানের তিনাপ সাইতার নামক ঝর্নার পথে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার মাঝামাঝি পাইন্দু খাল পার হতে গিয়ে প্রবল স্রোতে ভেসে যান নৌবাহিনীর সাব-লেফটেন্যান্ট মো. আসিফ ও ঢাকার গ্রীন হার্ট আর্ট কলেজের ছাত্রী জান্নাত আরা। সেনা ও পুলিশ সদস্যরা রোববার সারাদিন খোঁজ করেও তাদের উদ্ধার করতে পারেননি। পরে রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর একটি ডুবুরি দল রুমা পৌঁছে। সোমবার সকাল থেকে তারাও পাইন্দু খালের বিভিন্ন জায়গায় নিখোঁজ দু’জনের সন্ধানে অভিযানে নামেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৯
আরএ