শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে তাকে সাজা দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষকের নাম বিপুল কুমার প্রামাণিক।
বিপুল কুমারের সাজার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের বদলি ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষক বিপুল প্রায়ই ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করতেন। এছাড়া ছাত্রীদের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও কথাবার্তা বলতেন। এ নিয়ে এর আগে অভিভাবকদের কয়েকজন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেন। এতে বিপুলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। তবে সে সময় বিপুলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
শনিবার সকালে বিদ্যালয়ে ক্লাস চলার সময় বিপুল পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন। ওই ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। এরপর বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে বিপুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এলাকার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে আসে।
এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে দেন সহকর্মীরা।
বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের ঘিরে রেখে স্লোগান দেন। অন্য শিক্ষকরাও অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার চেষ্টা চালায়। তবে ক্ষুব্ধ লোকজনের বাধায় পুলিশ ব্যর্থ হয়। লোকজন ঘটনাস্থলেই অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে অনড় থাকে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৬ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৯
এসএস/টিএ