গত মার্চ মাসের প্রথম দিকে রণবাঘা হাটের অবৈধ স্থাপনাগুলো গুড়িয়ে দিয়েছিল প্রশাসন। অথচ চার মাস পেরোতে না পেরোতেই ফের হাটের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেছে দখলবাজরা।
নন্দীগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এর আগে জনস্বার্থে রণবাঘা হাটের জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছিলো। সেসব জায়গা আবারো কেউ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগের মতো আবারও দখলবাজদের অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে রণবাঘা হাটের মতোই নন্দীগ্রাম পৌরশহরের বাসস্ট্যান্ড ও কুন্দারহাট এলাকায় বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা প্রায় আড়াইশ’র মতো অবৈধ স্থাপনা গত জানুয়ারি মাসে উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। তবে একইভাবে মহাসড়কের পাশের সেসব স্থানেও ফের নতুন করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছেন প্রভাবশালীরা।
বগুড়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, খোঁজখবর নিয়ে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা হাটটি উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও পুরোনো। ফলে স্থানীয়দের কাছে এই হাটের আলাদা একটা ঐতিহ্য রয়েছে। অনেক দূর-দূরান্ত থেকেও বিক্রেতারা এই হাটেই আসেন।
সপ্তাহের শুক্রবার ও সোমবার এখানে হাট (বাজার) বসে। এই হাটে ধান, চাল, গরু ও মহিষসহ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরনের পণ্যই আমদানি করে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু প্রভাবশালী দখলবাজদের কারণে এ হাটের জায়গা দিনদিন কমে যাচ্ছে। এতে করে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এসব কারণে হাটের জায়গায় গড়ে তোলা বিভিন্ন ধরনের প্রায় ১৪৫টির মতো অবৈধ স্থাপনা গত ৭ মার্চ গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাংলানিউজকে জানান, কয়েক মাস বিরতি দিয়ে প্রভাবশালীরা ফের হাটের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে দিয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ হাটের জায়গা স্থায়ীভাবে দখল করতে ইট দিয়েই ঘর নির্মাণ করছে। দখলের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এখন দেখা যাক, প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা কি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৯
এমবিএইচ/এসএ