শুক্রবার (২৮ জুন) ভোরে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৪ হাজার ৩২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয় বলে দাবি করেছে বিজিবি।
প্রশান্ত কুমিল্লার মোগলটুলি এলাকার বাদল চন্দ্র দাসের ছেলে। তাকে বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) বিকেলে গ্রেফতার করা হয়।
১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের বিবির বাজার বিওপির একটি বিশেষ টহলদল ‘টিক্কারচর ব্রিজ’ এলাকা থেকে ২ হাজার ১৮৫ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ প্রশান্তকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে নগরের সংরাইশ এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান আসার তথ্য পাওয়া যায়। ওই তথ্যের ভিত্তিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে বিবির বাজার বিওপির একটি বিশেষ টহলদল সীমান্ত পিলার ২০৮২ থেকে আনুমানিক ৩ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সংরাইশ বেড়িবাঁধ এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে যায়।
সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা প্রশান্তের সহযোগী মাদক কারবারিরা বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থেও বিজিবির সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। একপর্যায়ে মাদক কারবারিরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে তখন মাদক কারবারিদের ছোড়া গুলিতে প্রশান্ত গুরুতর আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে ২ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রশান্তকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাম মিয়া বাংলানিউজকে জানান, প্রশান্তের নামে কোতোয়ালি থানায় কোনো মামলা নেই। তবু যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
তবে এলাকাবাসী বলছেন, এলাকার অনেকেই প্রশান্তকে ভিডিওগ্রাফার হিসেবে জানেন। জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভিডিও করতেও দেখা যায় তাকে। আড়ালে মাদক কারবার করতেন কি-না সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারেননি।
প্রশান্তের পরিবারের দাবি, তিনি কখনোই মাদকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এমনকি তার নামে কোনো মামলাও নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৯
এএটি/এইচএ/