এএসএম সাইদ সোহাগ শেবাচিম হাসপাতালের পিজিটি কোর্সের শিক্ষার্থী। তিনি ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুরের সরুপপুর এলাকার মৃত মশিউর রহমানের ছোট ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় বুধাবর (২৬ জুন) কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করছেন নিঁখোজ চিকিৎসকের বড়ভাই শামীম সরোয়ার।
সাধারণ ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, সাইদ সোহাগ শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টার্ন হোস্টেলের নিচতলার একটি কক্ষে থাকতো। গত ২৩ জুন ভোরে আনুমানিক সাড়ে ৪টায় তন্ময় নামে একলোক মোবাইলে তাকে জানায় সাইদ সোহাগকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে তার কক্ষেও নেই।
শামীম সরোয়ার তার ভাইয়ের মোবাইলে কল করলে প্রথমে কল রিসিভ হয়নি। পরে মোবাইলটি বন্ধ পায়। পরবর্তীতে শামীম বরিশালে এসে ইন্টার্নি হোস্টেলে গিয়ে দেখতে পান সাইদ সোহাগের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন তার কক্ষের মেঝেতে পড়ে আছে এবং মানিব্যাগ টেবিলের ওপর। কাপড়-চোপড় ও বইপত্র সবকিছুই কক্ষে ঠিকমত রয়েছে। শুধু সাইদ সোহাগ নেই।
অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানিয়েছেন শামীম সরোয়ার।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণ ডায়েরি করার পাশাপাশি তাকে খুঁজতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তবে, তারা কেউই কিছু বলতে পারেনি। শুধু সাঈদের জ্বর হয়েছিলো সেটি জানিয়েছেন তারা, যা আমরাও জানি।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের মতো সন্ধান চালাচ্ছি, দুপুরে সাঈদকে দেখা গেছে এমন একটি খোঁজ পেয়েছি স্বজনদের কাছ থেকে। সেখানে যাচ্ছি তবে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত নই, যে সাঈদের সন্ধান মেলবে।
তবে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে সবার আগে স্বজনদের উচিত ছিলো আমাদের জানানো। কিন্তু আমাদের জানানো হয়নি, আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/