তিনি বলেন, বিএনপির সদস্যরা সংসদকে অবৈধ বলেন, তাহলে তারা সংসদে আসেন কেন? সংসদে বসে সংসদকে অবৈধ বলা অনৈতিক। আমি স্পিকারকে বলবো এ ব্যাপারে আপনি সুস্পষ্ট রুলিং দিন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক মন্ত্রী এ দাবি জানান। এ সময় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
বিএনপির সদস্যদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ ধরে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘এই সংসদে আমাদের কিছু সদস্য দাঁড়িয়ে বলে সংসদ অবৈধ। আমরা কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হইনি। সংসদকে উনারা যদি অবৈধ মনে করেন তাহলে তারা এই সংসদে কেন আসেন, শপথ নিলেন কেন, সংসদে আসলেন কেন। ’
বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ১০ বছরে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আমাদের অনেক সমস্যা ছিলো, তা কাটিয়ে অনেক চড়াই-উৎড়াই পার হয়ে আজকের অবস্থানে এসেছি। বঙ্গবন্ধু সেদিন স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, মানুষকে বিশ্বাস করাতে পেরেছিলেন যে এদেশ স্বাধীন হবে। সেই বিশ্বাস করাতে পেরেছিলেন বলেই মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলো।
‘আজও শেখ হাসিনা বিশ্বাস করিয়েছেন- ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে। এ কারণেই মানুষ উন্নয়নে সম্পৃক্ত হয়েছে। ’
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনের এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল মাহমুদ বলেন, আমাদের কর আদায় মাত্র ৯ শতাংশ। জিডিপি রেট ৯ থেকে ১০ শতাংশ। এই সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। তা না হলে বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব না। ঘাটতি পূরণে যদি ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভর করেন, কিন্তু ব্যাংকে এখনও তারল্য সংকট আছে।
‘ঘাটতি মেটাতে, বার্ষিক উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে চান, তাহলে এই লোকবল দিয়ে সম্ভব না। আমাদের আগে লোকবল বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেন। কিন্তু মোবাইল ফোন আমদানিতে ট্যাক্স বাড়িয়ে সেটা সম্ভব না। সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর বাড়ানো উচিৎ হবে না, সম্পূর্ণ অনৈতিক হবে বলে আমরা মনে করি। ’
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, অনেক চেষ্টা করেও গত কয়েক বছরে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো যায়নি। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আমাদের সংস্কারের দিকে লক্ষ্য দিতে হবে। যদি সংস্কারগুলো হয় তবে প্রত্যেক জায়গায় সাধারণ মানুষ এগিয়ে যাবে। দুনীতি কমাতে পারলে, স্বচ্ছতা আনতে পারলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
এসকে/এমএ