বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর ১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের মর্গ থেকে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে সড়কপথে রওয়ানা দেন নিহতের বন্ধু ও স্বজনরা।
এসময় মরদেহের সঙ্গে থাকা নিহতের বন্ধু মঞ্জুরুল আলম জন বাংলানিউজকে বলেন, বরগুনায় রিফাতের স্বজন, বন্ধু ও এলাকাবাসী অপেক্ষায় রয়েছেন।
এর আগে শেবাচিম হাসপাতালের মরদেহ রাখা কক্ষ থেকে সকাল ১০টার দিকে নিহত রিফাত শরীফের মরদেহ মর্গে নিয়ে আসা হয়। সেখানে বেলা ১১টা ১০মিনিট থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত চলে ময়নাতদন্তের কার্যক্রম।
ময়নাতদন্ত চলাকালীন সময়ে রিফাতের চাচা ছালাম শরীফ, মামা মোস্তফা আলম, শ্বশুর মোজাম্মেল হোসেন কিশোরসহ অর্ধশত বন্ধু ও স্বজনরা মর্গ এলাকায় অবস্থান করেন। এদের মধ্যে অনেক বন্ধু ও বড় ভাইয়েরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিনেদুপুরে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে রিফাতকে কুপিয়ে জখম করে সাবেক স্বামী নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা। গুরুতর আহত রিফাতকে প্রথমে বরগুনা সদর হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে সেখানে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে অস্ত্রোপচারের সময় রিফাতের মৃত্যু হয়।
রিফাতের মৃত্যুর খবর ও কোপানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে নড়ে চড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে তাদের ধরতে অভিযানে নেমে এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
এমএস/এএটি