ময়নাতদন্ত শেষে বৃহষ্পতিবার (২৭ জুন) তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিহত রিফাত শরীফের গলায়, মাথায়, বুকে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে; যা ধারালো অস্ত্রের আঘাত বলেই প্রাথমিকভাবে বোঝা গেছে।
‘বিশেষ করে গলার আঘাতের কারণে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ রগ কর্তন ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে এতটাই রক্তক্ষরণ হয়েছে, যা সময়ের ব্যবধানে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বিস্তারিত বিষয়গুলো ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেই নিশ্চিত করে উল্লেখ করা হবে। ’
আরও পড়ুন>> রিফাত হত্যা মামলা: আসামিদের ধরতে জেলাজুড়ে চেকপোস্ট
এর আগে বেলা ১১ টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বোর্ড গঠন করে।
বোর্ডে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জামিল হোসেনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. মাইদুল হোসেন ও ডা. সোহেলী আক্তার তন্নী।
এর আগে শেবাচিম হাসপাতালের লাশঘর থেকে সকাল ১০টার দিকে নিহত রিফাত শরীফের মরদেহ মর্গে আনা হয়। সেখানে বেলা ১১টা ১০ মিনিট থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত চলে ময়নাতদন্তের কার্যক্রম। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রিফাতের মরদেহ নিয়ে বেলা ১টার দিয়ে স্বজনেরা সড়কপথে বরগুনার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফ (২২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করে সাবেক স্বামী নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে বরগুনা সদর হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন রিফাতের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
এমএস/এমএ