এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে এ দেশ আমাদের সবার। তাই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সংসদ সদস্য, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের পাশাপাশি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গর্ভানেন্স অ্যাডভোকেমি ফোরাম আয়োজিত ‘সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্য: গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ ও শক্তিশালী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন, দেশকে ভালো অবস্থানে নেওয়া। এ উন্নয়নের দর্শন অনেক আগেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দর্শনে দিয়ে গেছেন। তার সেই দর্শন থেকেই আজ আমাদের স্থানীয় সরকার সফল পেতে পারে। এজন্য আমাদের সবার মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চত করতে হবে। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে, দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাকে আরও বেগবান করতে সংসদ সদস্য, চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া যাবে না।
এলজিআরডি মন্ত্রী আরও বলেন, তৃতীয় বিশ্বের মধ্যে এক সময় শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সবক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম। আজ আমরা সেই অবস্থা থেকে ক্রমেই উন্নতির দিকে যাচ্ছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ শতাংশ দরিদ্র আমাদের দেশ ২১ শতাংশ। আমরা দারিদ্র্যের হার আরও কমিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছি। আমেরিকা, চীন, জার্মানি, ভারতের তুলনায় আমাদের দেশে ১৭ শতাংশ ধনী বেড়েছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। মনে রাখতে হবে, সবচেয়ে বড় ধনী বিল গেটস একা তার সব সম্পদ ভোগ করে না। তার অনেক বিনিয়োগ, যেখানে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমাদের দেশে ধনী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগ বাড়ছে, অনেকের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সমাজে নেতিবাচক কথা খুব ফলাও করে প্রচার করা হয়। এখন বলা হচ্ছে ব্যাংকে তারল্য সৃষ্টি হয়েছে, সরকার সেখান থেকে ঋণ নিচ্ছে, অন্যরা নগদ টাকা পাচ্ছে না। আমি বলবো, মার্কেটে এখন টাকার কোনো অভাব নেই, আর সরকারের টাকা নেই দেশের উন্নয়নের জন্য, অর্থনীতির চাকা শক্তিশালী করার জন্য। সরকারের বিনিয়োগ যে সেক্টরেই হোক না কেনো এতে পণ্যের প্রসার ঘটে, শিক্ষার হার বাড়ে, মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে সহজ হয়।
গর্ভানেন্স অ্যাডভোকেমি ফোরামের সমন্বয়কারী মহসিন আলীর সঞ্চালনায় আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারপারসন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটসের চিফ অব পার্টি ড. রেজাউল হক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর মো. জিয়াউল করিম, উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশিদ হাওলাদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
ইএআর/এএটি