ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বৃহস্পতিবার বসছে না পদ্মাসেতুর ‘৩সি’ স্প্যান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
বৃহস্পতিবার বসছে না পদ্মাসেতুর ‘৩সি’ স্প্যান

মুন্সিগঞ্জ পদ্মাসেতু এলাকা থেকে: প্রতিকূল আবহাওয়া ও পিলারের কাছে পলি জমার কারণে পদ্মাসেতুর চতুর্দশ স্প্যান ‘৩-সি’ আজ বসছে না।। তবে স্প্যানবহনকারী ক্রেনটি কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে রওনা হয়েছে। স্প্যানটি ১৫-১৬ পিলারের কাছে রাখা হবে।

স্প্যানটি পিলারের উপর বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর ২১০০ মিটার (২.১ কিলোমিটার)।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ১১টা ২০ মিনিটের দিকে স্প্যানটি ভাসমান ক্রেনে রওনা করে।

ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের আর ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে নিয়ে যাবে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন।

পদ্মাসেতুর প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের বাংলানিউজকে জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ে স্প্যানটি রওনা দেয়নি। এছাড়া ১৫-১৬ নম্বর পিলারের কাছে পলি জমেছে। যার কারণে ড্রেজিং করে পলি অপসারণের কাজও চলছে। ভাসমান ক্রেনটি পলি থাকার কারণে নোঙর করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তাই পলি অপসারণ করার পর শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হবে। তবে স্প্যানটি রওনা দিয়েছে রাখা হবে নির্ধারিত পিলারের কাছে।

>>>আরও পড়ুন...পদ্মাসেতুর চতুর্দশ স্প্যান বাসানোর কার্যক্রমে বিলম্ব

জানা যায়, পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।