বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ১০টা ৯ মিনিট পর্যন্ত স্প্যানবহনকারী ক্রেনটি কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডের সামনেই অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। স্প্যানটি রওনা দেওয়ার কথা ছিল সকাল ৮টার দিকে।
ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের আর ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে নিয়ে যাবে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান-ই’ ক্রেন।
আরও পড়ুন...পদ্মাসেতুর ২১০০ মিটার দৃশ্যমান হতে পারে বৃহস্পতিবার
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী বাংলানিউজে বলেন, সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। দুর্ঘটনা এড়াতে স্প্যান রওনা দিতে বিলম্ব হচ্ছে। আজকের মধ্যে স্প্যান রওনা দিয়ে স্প্যান বসানো যাবে কি না তা এখনো বলা যাচ্ছে না। স্প্যানটি বসানোর জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৮
এনটি