ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পশ্চিম রেলে পরিত্যক্ত লোহা বেচে আয় সাড়ে ৩২ কোটি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
পশ্চিম রেলে পরিত্যক্ত লোহা বেচে আয় সাড়ে ৩২ কোটি রেলে পরিত্যক্ত লোহা। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: পরিত্যক্ত লোহা (স্ক্র্যাপ) বিক্রি করে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সাড়ে ৩২ কোটি টাকা আয় করেছে। গেল অর্থবছরে (২০১৭-১৮)এ বিপুল পরিমাণ আয় হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে, রাজশাহীর প্রধান কার্যালয়।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাসহ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভিন্ন ইয়ার্ডে পড়ে থাকা ভাঙারি লোহা উন্মুক্ত দরপত্রে গেল অর্থবছরে বিক্রি করা হয়। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সিওএস) প্রকৌশলী বেলাল হোসেন ওই দরপত্র আহ্বান করেন।

একটি সূত্রের অভিযোগ, ইতোপূর্বে রেলওয়ের পরিত্যক্ত লোহা বিক্রি নিয়ে একটি মহল বরাবরই সক্রিয় ছিল। তারা সিন্ডিকেট করে এ খাত থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। বর্তমান রেল প্রশাসন ওই সিন্ডিকেটপ্রথা ভেঙে দিয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে স্ক্র্যাপ বিক্রি করে আয় করেছিল সাড়ে ২৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় সাড়ে ৩২ কোটি টাকায়। অর্থাৎ প্রতিটন স্ক্র্যাপ বিক্রি হয়েছে ৩৮ হাজার টাকা দরে। রেলে পরিত্যক্ত লোহা।  ছবি: বাংলানিউজএকই সূত্র জানায়, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে অর্থাৎ চট্টগ্রাম অঞ্চলে একই ধরনের স্ক্র্যাপ বিক্রি হচ্ছে প্রতিটন ২০ হাজার টাকা দরে। ৬ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের আদলে পূর্বাঞ্চল রেলওয়েকেও স্ক্র্যাপ বিক্রি থেকে আয় বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আগামী অর্থবছরে ওই খাত থেকে দ্বিগুণ আয় বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মো. শহীদুল ইসলাম প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রককে আয় বাড়ানোর কারণে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আমরা স্বচ্ছতা আনতে সক্ষম হয়েছি। ফলে স্ক্র্যাপ খাতে আয় বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। আগামীতে এ খাত থেকে আরও বেশি টাকা আয় করা যাবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।