ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মাসেতুর ২১০০ মিটার দৃশ্যমান হতে পারে বৃহস্পতিবার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
পদ্মাসেতুর ২১০০ মিটার দৃশ্যমান হতে পারে বৃহস্পতিবার পদ্মাসেতু (ফাইল ফটো)

মুন্সিগঞ্জ: বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে পদ্মাসেতুর ১৪তম স্প্যান '৩-সি' মাওয়া প্রান্তে ১৫ ও ১৬ নম্বর পিলারের উপর বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের। স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর ২১০০ মিটার।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৮টায় মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে পিলারের উপর স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্র।

 

ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের আর ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে নিয়ে যাবে তিন হাজার ৬শ’ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন।  

জানা যায়, চলতি বছরের ২৪ মে মাওয়া প্রান্তে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের উপর ১৩ তম ৩বি স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর ১৯৫০ মিটার। এক মাস দুইদিনের মাথায় বসতে যাচ্ছে ১৪ তম স্প্যানটি।

সেতুর মোট ২৯৪টি পাইলের মধ্যে পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন হয়েছে ২৯০টি। বাকি চারটি পাইলের কাজ মধ্য জুলাইয়ে শেষ হওয়ার কথা আছে। সেতুর মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়েছে ২৯টির। জাজিরায় সেতুর ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারে পাইলের কাজ চলছে। ২৬, ২৭ নম্বর পিলারে সাতটি পাইলের মধ্যে ৫টি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন হয়ে গেছে। চীন থেকে আরও দুইটি স্প্যান মাওয়ার পথে রয়েছে। ৮টি স্প্যান ইয়ার্ডে ফিটিং করা হচ্ছে। ১৫ তম স্প্যান মাওয়ায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। ডাঙ্গায় থাকা দুই পিলারে ১৬টি পাইল। পদ্মাসেতুর পিলারের একেকটি পাইল লোড  ৮ হাজার ২০০ টন। সেতুর ৫ নম্বর মডিউল এর ৫-ডি স্প্যানটি স্টোর করা হয়েছে। ২৮ ও ২৯ নম্বর পিলারের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এর পাশে রাখা হয়েছে। ৫-ই স্প্যানটিও রাখা হয়েছে, যা বসবে ২৯ ও ৩০ নম্বর পিলারে। রেলওয়ে স্ল্যাব বসেছে ৩২০টি ও রোডওয়ে স্ল্যাব ৩০টি।  

জানা যায়, জাজিরা প্রান্তে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এর প্রায় চার মাস পর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। দেড় মাস পর ১১ মার্চ এ প্রান্তে ধূসর রঙের তৃতীয় স্প্যান বসানো হয়। দু’মাস পর ১৩ মে বসে চতুর্থ স্প্যান। এক মাস ১৬ দিনের মাথায় পঞ্চম স্প্যানটি বসে ২৯ জুন। তারপর ছয় মাস ২৫ দিনের মাথায় ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি বসে ষষ্ঠ স্প্যানটি। এর ২৮ দিনের মাথায় ২০ ফেব্রুয়ারি বসে সপ্তম স্প্যানটি। এর একমাস পরে ২২ মার্চ বসে অষ্টম স্প্যান। এরপর ১০ এপ্রিল বসে দশম স্প্যানটি। এর ১৩ দিনের মাথায় ২৩ এপ্রিল বসে একাদশ স্প্যান। এর ১২ দিনের মাথায় দ্বাদশ স্প্যানটি অস্থায়ীভাবে বসে চলতি মাসের ৫ মে। আর মাওয়া প্রান্তে একটিমাত্র অস্থায়ীভাবে স্প্যান বসানো হয় ২০১৮ সালের ১২ অক্টোবর।

পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।