বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ডা. হাফেজ মাহফুজুর রহমানের মালিকানাধীন জিম ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিশু শহরের আরামবাগের এলাকার তারেক মাহমুদের ছেলে।
শিশুটির বাবা তারেক মাহমুদ বাংলানিউজেক জানিয়েছেন, সকাল ১০টায় তার শিশুকে সুন্নাতে খতনা দেওয়ার জন্য শহরের জিম ক্লিনিকে আনা হয়। সকাল ১০টা ২০মিনিটে ওই ক্লিনিকের মালিক ডা. হাফেজ মাহফুজুর রহমানের সুন্নাতে খতনা দেওয়ার জন্য অপারেশন থিযেটারে নেন। সুন্নাতে খতনা দেওয়ার সময় ওই চিকিৎসক আমার ছেলের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছেন। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাথমিক ব্যবস্থা দিয়ে ঢাকা নিয়ে যেতে বলেছেন।
গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) অনুপ কুমার মজুমদার জানিয়েছেন, পুরুষাঙ্গের কাটা অংশ সংরক্ষণ করে ওই শিশুকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য তার পরিবারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ে মাইক্রো সার্জারি করাতে পারলে এটি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. হাফেজ মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, এটি একটা দুর্ঘটনা। শিশুকে সুন্নাতে খতনা দেওয়ার সময় সে হাত-পা ছুড়াছুড়ি করার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে। এটি দুঃখজনক বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এসএইচ