বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফুটপাতে তাকে অনশন করতে দেখা যায়।
চাঁদের কণার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপাড়া উপজেলার বিয়াড়া গ্রামের আবদুল কাদেরের মেয়ে।
স্নাতক প্রথম বর্ষে পড়ার সময় কণার মা স্কুলশিক্ষিকা হাসনাহেনা মারা যান। এরপর তার বাবা ব্রেইন স্ট্রোক করেন। বর্তমানে অসুস্থ বাবা ও দুই ছোট ভাইকে নিয়ে অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছেন কণা।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে পড়াশোনার গণ্ডি পেরোতে পারলেও দারিদ্র্যকে জয় করা যাচ্ছে না।
কণার দাবি, তিনি টিভি-রেডিওতে সংবাদ পাঠ, ভিডিও এডিটিং, নাটক, গল্প ও কবিতা লেখা এবং আবৃত্তি করা, গল্প বলা, ছবি আঁকা এমনকি কম্পিউটারের প্রায় সব কাজ করতে পারেন।
চাঁদের কণা হাতের ওপর ভর দিয়েই সবসময় চলাফেরা করতেন। তার কষ্ট দেখে ২০১৮ সালে তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু একটি হুইল চেয়ার দেন।
চাঁদের কণা বাংলানিউজকে বলেন, শুনেছি শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, তাই মেরুদণ্ড সোজা রাখার জন্য বহু কষ্টে না খেয়ে, না ঘুমিয়ে মাস্টার্স পাশ করেছি। দেহের অর্ধেক অংশকে বাদ দিয়ে শুধু মনের জোরে জীবন সংগ্রাম করে চলেছি বাবা ও ভাইদের নিয়ে একটু ভালো থাকবো বলে।
তিনি বলেন, আমার সরকারি চাকরির বয়স আর মাত্র কয়েকমাস বাকি আছে। তাই অন্য কোনো উপায় না দেখে অনশন করছি। প্রধানমন্ত্রী দেশের সবার অভিভাবক। আমার মা নেই। প্রধানমন্ত্রী আমার মায়ের সমতুল্য। তাই আমি মায়ের সঙ্গে দেখা করে তার ভালোবাসা পেতে চাই। তিনি যদি আমাকে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেন, তাহলে আমার মতো একজন প্রতিবন্ধী বাবা আর দুই ভাইকে নিয়ে বাকি জীবন একটু ভালোভাবে থাকতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
আরকেআর/এইচএ/