বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে বালুর বস্তা ফেলে মেরামত কাজ শুরু করে জেলা প্রশাসন।
মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া গ্রামগুলো হলো- লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়ানের বোয়ালমারী, শীবেরকুটি ও চর শিবেরকুটি গ্রাম।
জানা যায়, উজানের ঢল আর মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতের ভারি বর্ষণে ধরলার নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। এতে ধরলা ঘেঁষা লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ওয়াবদা বাজার থেকে চর শীরেরকুটি বাইপাস সড়কটির ১২০ ফিট ভেঙে যায়। ওয়াবদা বাজারের পাশে ওই সড়কের ইউড্রেনটির নিচ দিয়ে পানি চুয়ে নেমে যাওয়ার এক পর্যায়ে পুরো অংশ পানির তোড়ে ভেসে যায়। মুহুর্তে ভেঙে যায় পাকা এ সড়কটি প্রায় ১২০ ফিট। পানির স্রোতে ভেসে যায় ওই অংশের কয়েকটি বড় বড় গাছ। ভেসে যায় একটি মৎস্য প্রজেক্টের লক্ষাধিক টাকার মাছ। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তিন গ্রামের প্রায় দেড় হাজার পরিবারের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এসব মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সওজ যৌথভাবে বালুর বস্তা ফেলে ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত শুরু করেছে। তবে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরের মধ্যে যোগাযোগ সচল করা হবে বলে দাবি করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
চর শীবেরকুটি গ্রামের রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ভোরে ইউড্রেনটির নিচ দিয়ে সামান্য পরিমাণে পানি চুয়ে বের হতো। সকাল ১০টার দিকে পুরো ইউড্রেনটি পানির স্রোতে ভেসে যায়। আস্তে আস্তে ভেঙে যায় পাকা সড়কটির প্রায় ১২০ ফিট। বর্তমানে স্থানীয়রা নৌকা বা ভেলায় করে পার হচ্ছেন।
মেরামত কাজের তদারকি কর্মকর্তা সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জি আর সরোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ সচল করতে বালুর বস্তা ফেলে মেরামত করা হচ্ছে। বাইরে থেকে ট্রাকে বালু আনতে কিছুটা সময় লাগছে। ইতোমধ্যে দুই হাজার বস্তা প্রস্তুত করা হয়েছে। বালুভর্তি বস্তা দিয়ে আপাতত সচল করা হবে। ভেঙে যাওয়া অংশ বেশ গভীর। তাই একটু বেশি সময় লাগবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এনটি