ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মানুষের হৃদয়ে ভাস্বর হয়ে থাকবেন কামরুজ্জামান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৭ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
মানুষের হৃদয়ে ভাস্বর হয়ে থাকবেন কামরুজ্জামান

 ঢাকা: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জাতীয় চার নেতার অন্যতম এএইচএম কামরুজ্জামান ছিলেন মহৎ, সৎ ও মহান দেশপ্রেমিক। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত সহচর। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নাম যতদিন থাকবে ততোদিন জাতির পিতার বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে কামরুজ্জামানও মানুষের মনে ভাস্বর হয়ে থাকবেন। 

বুধবার (২৬ জুন) এএইচএম কামরুজ্জামানের ৯৩তম জন্মবার্ষিকীতে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।  

জন্মদিনে এএইচএম কামরুজ্জামানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রফেসর ড. সামসুদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামানের অবদানের কথা জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখবে।

ওই সময় মুজিবনগর সরকার গঠন এবং যুদ্ধ পরিচালনায় তার দক্ষতা ও যোগ্যতা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।  

‘দীর্ঘ ৩৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনোই নির্বাচনে পরাজিত হননি এবং তিনি সর্বদাই জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করেছেন। তার মতো মহৎ, সৎ, মহান দেশপ্রেমিককে পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। যিনি জীবন দিয়েছেন তবুও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে সরে যাননি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে আজীবন দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। ’

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শহীদ কামরুজ্জামানের ছেলে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনও পিতার মতো জনমানুষের নেতা হিসেবে জনগণের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।  

‘দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার স্নেহধন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এই নেতা বর্তমানে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র। তার স্বপ্ন রাজশাহীকে আদর্শ নগরীতে রূপ দেওয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বায়স্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। ’

১৯২৬ সালে রাজশাহীতে জন্ম নেওয়া এএইচএম কামরুজ্জামান ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ অনার্স এবং ১৯৪৬ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে ডিগ্রি লাভ করে আইন পেশায় নিয়োজিত হন।  

অল্প বয়সেই কামরুজ্জামান রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি ১৯৪২ সালে বঙ্গীয় মুসলিম ছাত্রলীগের রাজশাহী জেলা শাখার সম্পাদক এবং ১৯৪৩-৪৫ সালে বঙ্গীয় মুসলিম ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

১৯৭০ সালে তিনি রাজশাহী থেকে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুজিবনগরে গঠিত অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভায় কামরুজ্জামান ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে তিনি রাজশাহীর দুটি আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭২-৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৪ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।  

১৯৭৫ সালে নবগঠিত মন্ত্রিসভায় তিনি শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বাকশালের কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্য ছিলেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক বাহিনীর কতিপয় সদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হলে দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখা হয়।  

কারাগারে আটক অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্যের হাতে জাতীয় অপর তিন নেতা তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ তিনি নৃশংসভাবে নিহত হন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ