ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শায়েস্তাগঞ্জে রেলপথের ৭ ব্রিজ নাজুক, আতঙ্কে যাত্রীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
শায়েস্তাগঞ্জে রেলপথের ৭ ব্রিজ নাজুক, আতঙ্কে যাত্রীরা

হবিগঞ্জ: কুলাউড়ায় উপবন ট্রেন দুর্ঘটনার পর বিভিন্নস্থানে ট্রেন লাইনের নড়বড়ে অবস্থার চিত্র উঠে আসছে। এসব স্থানে একাধিকবার ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। এরমধ্যে ঢাকা-সিলেট রেলপথের শায়েস্তাগঞ্জের সাতটি ব্রিজের অবস্থা একেবারেই নাজুক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃটিশ আমলে নির্মিত হয় শায়েস্তাগঞ্জের খোয়াই ব্রিজ, লস্করপুর ব্রিজ, কুতুবের চকে দুইটি ব্রিজ, বড়চর ব্রিজ, সুতাং নদীর উপর নির্মিত ব্রিজ ও চাইল্লা ব্রিজ। দীর্ঘদিন ধরে দুর্বল হয়ে থাকা ব্রিজগুলোকে মেরামতের উদ্যোগ নিলেও কাজ হয় নামেমাত্র।

প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়েই ট্রেন চলাচল করছে।

সরেজমিনে পুরান বাজার ও খোয়াই ব্রিজ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিনের পুরাতন স্লিপারগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে প্রায়। দুর্বল হয়ে গিয়ে এক জায়গার স্লিপার অন্য জায়গায় সরে গেছে। ব্রিজের পিলারগুলোতে দেখা দিয়েছে একাধিক ফাঁটল। যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, বাকি পাঁচটি ব্রিজেরও অবস্থা একই রকম। এছাড়াও ঢাকা-সিলেট রেলপথের বিভিন্ন এলাকায় লাইনে ব্যাপক দুর্বলতা রয়েছে। দ্রুত এগুলো মেরামতের উদ্যোগ না নিলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

সুতাং এলাকার বাসিন্দা আব্দুম সালাম মজনু বাংলানিউজকে বলেন, শুধু ব্রিজ নয়, পুরো লাইনের বিভিন্নস্থানে দুর্বলতা দেখা দিয়েছে। ট্রেন চলাচলের সময় রীতিমতো কাঁপতে থাকে লাইন। এভাবে দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে চলাচলে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

রেলপথের অবস্থা নাজুক।  ছবি: বাংলানিউজ

শায়েস্তাগঞ্জ জহুরচান বিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন রুমি বাংলানিউজকে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদশের অর্থ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো সিলেটের হাতেই ছিল। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দিক থেকেও সিলেট বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। বিশেষ করে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে সিলেট বিভাগ সবার আগে রয়েছে। এছাড়া গ্যাস, পর্যটন, চা পাতা, পাথর, মাছ, ভাত উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের অর্থ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু সিলেট বিভাগের রেললাইনের ব্যাপারে আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। কর্তৃপক্ষ সময়মতো উদ্যোগ না নেওয়ায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।  

এ দুর্ঘটনার দায় কি রেল কর্তৃপক্ষ নেবে? হয়তো কিছু ক্ষতিপূরণ দেন। এছাড়া সিলেট লাইনে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর অবস্থা দেখলে মনে হয় রেল কর্তৃপক্ষ আমাদের দয়া করছেন। অথচ অন্যান্য লাইনে নতুন নতুন বগি দিয়ে ট্রেন চালানো হচ্ছে। এই বৈষম্য থেকে সিলেটবাসীর মুক্তি দাবি করেন তিনি।

ঢাকা-সিলেট রেলপথের শায়েস্তাগঞ্জে দায়িত্বরত উপ সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, রেললাইন মেরামতের কাজ চলছে। এ ব্যাপারে পরে কথা বলবো।

বাংলাদশে সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।